html

Sunday, April 29, 2018

সোনালী মিত্র

পিস্তল সিরিজ

সোনালী মিত্র


বালি দিয়ে পরজন্ম বাঁধা । আর একটা অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ।
সমস্ত চুমুগুলো রিলমাস্টারের ব্যাগে । অর্থাৎ তিনিই চুম্বনের দেবতা !
#
আর ওই ফোঁসফোঁস , অষ্টবক্র , মদ্দা ঢেমনাসাপ , নীলসাপ
তোবড়ানো গালের অগস্ত্য তবু গিলে নিচ্ছে লোলুপবিষ ।
শরীর থেকে ঘাম ঝরে গেলে , দেহকে চেনে না দেহ
আর মরতে চাইছে না কুলিকামিন , চটচটে আঠা তখন ঘামে
#
বেহেস্ত চেয়ে চক্রবৃদ্ধি হচ্ছে লোভ । আর একটা বহুরঙ্গ ব্যাঙ্কের
দিকে আফ্রোদিতির মতো । পিস্তল এ-কে সিরিজ নিয়ে লুকিয়ে পড়ছে ।
#
স্নান সেরে উঠে আসছে ,মধুস্তন । বোঁটা পোড়াধান , কালো ।
সর্বনাশ খাতায়-কলমে লিখে ফাঁসি চাইছে একটা শব্দের ফাঁসি
জরায়ুমাটি আমার,কাঙালবিদায় ভঙ্গীতে পিল গিলে জিরো - ওগো জিরো
জিও সিমে হোয়াটস আপ - কল্লোলিনী নাভিভ্রুম দেখ ।
#
তিনরাস্তায় ট্র্যাফিক নিভে পাগল ও কুকুরের খেওখেয়ি -ডাস্টবিন ।
বিধি বাম হচ্ছে , দাবানল খিদে বেঁয়ে সুড়ুত টানছে গাঁজা , মেয়েটিকেও
কম যাবে না - যদিও পাবে না সোনারখাট ।
খ্যাতি এস শব্দে , বউবউ খেলি - শব্দের ধর্ষক জানবে না কেউ ।
তো বোলো ওম শান্তি ওম শান্তি শান্তি ওম


মুদ্রারাক্ষস


পুরনো পয়সা জমিয়ে নিজেকে রাজা সাজাবার
বাবার এক অদ্ভুত নেশা ছিল ।
সেইসব ধাতুর কয়েনের মধ্যে থেকে দুপুর গভীর হলে
বেরিয়ে আসতো সমুদ্র গুপ্তের সারঙ্গীর অলৌকিক রোশনি ,
পাল-সেনদের রক্তমাখা তরবারির সদর্প উল্লাস,অশোকের ধর্মস্ত্রোক।
বাবার শিরায় ছলকে উঠতো মৃত-জমিদারির ক্ষুধার্ত লোলুপ বাঘ
আমরা ভয়ে সিটিয়ে যেতাম মায়ের কোলে ।
বাবা বিপিএল কার্ডে চাল-গমের হিসেবের থলে নিয়ে ঢুকে
যেতেন পুরনো কয়েনের ভিতর ,উন্মাদগ্রস্থ নেশায়
একদিন রাজা হবেন বলে ।
আমরা বাবার বুকের মধ্যে শুনতে পেতাম ধাতব চিৎকার,
আফিম ক্ষেতের মধ্যে অসফল মানুষের নঞ্চর্থক সুরের গোঙানি ।
মায়ের শাক তোলার প্রবল নেশা ছিল
ভূতে পাওয়া মানুষের মতো ছুটে যেতেন খালেবিলে ।
বড় হয়ে বুঝেছিলাম , অভাবী মায়েরা আসলে জ্যান্তভূত , সন্তানের
পেট ভরাতে কোনও অবলম্বন পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন তার ওপরে ।
আমারও নেশা আছে সম্পর্ক গিলে খাওয়ার ।
অন্ধকারের মধ্যে খুন করে নিজের আত্মমুখ খাই ,
আর খেতে খেতে দেখি আমার শরীর থেকে মুছে যাচ্ছে ব্যক্তিগত চিত্র
বাবার দীর্ঘছায়া ঘন হচ্ছে আমার মুখের ওপরে ...


2 comments:

Facebook Comments