html

Sunday, May 6, 2018

সম্পাদকীয়





দেহ্‌লিজ, জন্ম নিলো । দেহ্‌লিজ দিল্লির বাংলা সাহিত্যকে যথাযথ মর্যাদায় প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে ।  দেহ্‌লিজ কাজ করবে কমিউনিটির মধ্যদিয়ে, টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে ।  দিল্লি বাংলা মূল ভূখণ্ডের বহুদূরে আরাবল্লী রিজের উপর ঘনয়মাণ সাহিত্যের এই পুষ্প প্রকাশ পাবে ডিজিটাল মাধ্যমে । দিল্লির বাংলা সাহিত্য যার শিকড় পাথুরে জমির অতল গভীরে ঢুকে আছে আর ইতিহাসের পাতায় পাতায় যা নিহিত রয়েছে । সেই শিকড় বেয়ে উপরে উঠে আসা সেই আকরিক যা বাংলা সাহিত্যের কবি, লেখক, নাট্যকারদের লেখনীতে ধরা পড়ছে । বাংলা থেকে দূর কোন এক্সকিউজ নয়, সাহিত্যমানের প্রতি দায়বদ্ধ আমাদের এই দিল্লির সাহিত্য প্রয়াস ।  দেহ্‌লিজের কর্মকাণ্ডে তাই কোলাবোরেশনের বড় একটা শ্রেয় থাকছে । বাংলা সাহিত্য এর কোর । ধনী, গরীব, পুরুষ , মহিলা, কেরানী, আই এস অফিসার , ডাক্তার, রোগী, ছোট, বড় ভেদ ভাও থেকে দূরে এই দেহ্‌লিজের অবস্থান । এর কোন চাঁদা নেই, কোন মেম্বারশীপ নেই । কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেহ্‌লিজ । সোশ্যাল মিডিয়া এই ডেভেলপমেন্টকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিল্লির কোনায় কোনায় ।  


প্রশ্ন থাকতে পারে, সাহিত্যে দিল্লির কোন অবদান আছে নাকি ? কিংবা দিল্লির বাংলা সাহিত্য ? নেই । সাহিত্যের কোন আবার দেশ হয় নাকি ? কিংবা কোন ভৌগলিক বিভাজন ? আমিও মনে করি নেই । যেভাবে জাপানেরও কোন নিজস্ব সাহিত্য নেই, কোরিয়ার সাহিত্যও আলাদা নয় । ব্রাজিলেরও কোন পৃথক সাহিত্য নেই, স্পেনেরও কোন নিজস্ব সাহিত্য নেই । সাহিত্যে কোন ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য থাকে নাকি ? রুশ ভাষার সাহিত্যে এমন কি আছে ? কিংবা ইজরায়েলের তো কোন সাহিত্য থাকতে পারে না । সাহিত্যের কোন ভৌগলিক সীমারেখা নেই । অন্ততঃ তাই সবাই মেনে নিয়েছি প্রথমে । কিন্তু আমার বিশ্বাস বিপরীতে । দিল্লির নিজের সাহিত্য চরিত্র আছে ! টিউনড থাকুন । পরবর্তী সংখ্যাগুলিতে নজর রাখুন ।

মাফ করবেন, মাঝখানে বলে ওঠায় । লক্ষ্য করুন , এই প্রথম প্রকাশে কোন সম্পাদকের নাম নেই । দিল্লিতে একটা সাহিত্য আড্ডা গড়ে উঠেছে, অন-লাইন, অফ-লাইন মিলেমিশে । আমি 'অ্যাডমিন' হিসাবে একটা রূপ দেওয়ার কথা বলছি । সোসাল মিডিয়াতে একটা গ্রুপ তৈরী করেছি, দিল্লিতে বসবাসকারী টেম্পোরারী ও পার্মানেন্ট, চাকরীর সূত্রে বাস করতে আসা সরকারী ও বেসরকারী, দিল্লির বুকে দ্বিতীয় বা তৃতীয়  প্রজন্মের বাঙালিদের নিয়ে । আমাদের পত্রিকাটির এইভাবে জন্ম যে আমরা প্রতিদিন যে সাহিত্য যাপনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তা ডিজিটালে ধরা থাক । আরো ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের সাহিত্য ভাবনা, দিল্লিবালা হিসাবে আমরাও কিছু যুক্ত করতে চাই । 

এইবার জেনে নেওয়া যাক, দিল্লিতে সাহিত্য চর্চা বলতে কি কি বুঝি ? দিল্লিতে কি কোনো পত্রিকা নেই ? এতদিন দিল্লিতে কোন সাহিত্য আড্ডা কি ছিলো না ? আমরা কিএটা আবিষ্কার করলাম, নাকি আগেও ছিলো ? 

দিল্লির সাহিত্যের ইতিহাস  অনেক দিনের । বাংলা চর্চার ইতিহাসও আমার জন্মের আগের । চিত্তরঞ্জন পাকড়াশীর "দিল্লির বাঙ্গালি" বইটিকে যদি রিফারেন্স ধরি, ১৮৩৭ সালের প্রথম বাঙ্গালি হিসাবে উমাচরণ বসুর নাম উল্লেখ করতে হয় , আর ছাপাখানার উল্লেখ করতে গেলে তারিখ আসে ১৮৮৩ সালে আই এম এইচ প্রেস প্রতিষ্ঠানের । সাহিত্য আড্ডার সন তারিখ হিসাবে ১৯৩০ সালের কথা আসে যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছেন দিল্লিতে । চন্ডালিকা, শ্যামা ইত্যাদি নিয়ে রিগ্যাল সিনেমা হলে নানান নৃত্যানুষ্ঠান করেছেন যেখানে অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন মহাত্মাগান্ধী নিজে । নাটকের কথা হলে, ১৯৩৩ সালে নিউ দিল্লি বেঙ্গলি ক্লাব বাংলা নাটক মঞ্চস্থ করে । ছবি আঁকার মোটামুটি একটা তারিখ পাওয়া যাচ্ছে ১৯১৮ । সারদা উকিল আর দিল্লির রাইস আদমি সুলতান সিং মিলে রুক্ষ-শুষ্ক-অতীত ঐশ্বর্যের ভগ্নস্তুপে ভরা দিল্লিতে চিত্রকলাপিঠে পরিণত করেন । লিখিত সাহিত্য আড্ডার যেরকম তারিখ পাওয়া যাচ্ছে তা স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে । চানক্য সেনের 'ইন্দ্রপ্রস্থ' সাহিত্য পত্রিকা কে দিয়ে শুরু করলে তা মোটামুটি ১৯৬০ সালের দিকে পড়ে। 

এই এতকথার অবতারণা করা উদ্দেশ্য হলো, এই আমাদের সাহিত্য প্রচেষ্টা দিল্লির বুকে নয়া কিছু না । বরং বলা যায় অপরিষ্কার ধারণা আমাদের মধ্যেই রয়েছে কারণ এই প্রচেষ্টার যথাযথ ডকুমেন্টেশন হয় নি আর সেযুগে গুগল বলেও কিছু ছিলো না । কলকাতাপ্রেমী বাংলা সাহিত্য অন্য এলাকার ভাষা বা সাহিত্যকে তেমন গুরুত্ব কখনোই দেয়নি । বাংলা মিডিয়া বলতে যা বোঝায় তা কলকাতা বা ঢাকার, তারা এই এতদূর দিল্লির শহরের সাহিত্য নিয়ে কেনই বা মাথা ঘামাবেন ? এই ২০১৮ তে দাঁড়িয়ে এখনো যদি আমরা ডকুমেন্টেশন ও সাহিত্য প্রচেষ্টা ডিজিটাইজড না করি আমাদের এই সাহিত্য প্রয়াস  ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বলে অকালেই কালের অন্ধকার পাতালগৃহে ধুলো গড়াগড়ি খাবে । 

কারা দিল্লির লেখক ?  দিল্লিতে ঠিক কতজন বাঙালি লেখক আছেন ? কতগুলি পত্রিকা ? আমার কাছে সঠিক তথ্য নেই । অনুমাণ আছে । আনুমানিক ২০টি বাংলা পত্রিকা নিয়মিত বেরিয়ে থাকে ।  এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব, সমাজ, কালীবাড়ী, এশোসিয়েশন দূর্গাপূজার ব্রোসিওর বের করে থাকেন । তাতেও অনেক লেখকের আনাগোনা থাকে ।  এছাড়াও দিল্লিতে রয়েছে নাট্যগোষ্ঠী যারা নিজেদের নাটক নিজেরাই লিখে চলেছেন । আমার আন্দাজ মতো দেড়শত সিরিয়াস কবি/ গল্পকার/নাট্যকার দিল্লিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন আর অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার সুবাদে অভিনেতা, চিত্রকর, সঙ্গীতকার, বাচিক শিল্পী, গৃহবধুরাও কবিতা লিখছেন ।  এই সমস্ত লেখার কি গুণাগুণ, কালের বিচারে তারা কোথায় অবস্থান করবে সেই সিদ্ধান্ত আমার কাছে নেই, আমি মোটামুটি নিজের দায়িত্বজ্ঞানে বুঝলাম , এই সাহিত্য প্রয়াস কোথাও লিপিবব্ধ থাক । 

এইবার দেহ্‌লিজের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে কিছু  আলোচনা করা যাক । বর্তমান দিল্লির বিভিন্ন-কোণে চলছে সাহিত্য প্রয়াস । বিভিন্ন পত্রিকাকে কেন্দ্র করে গ্রুপ ও লিখিত সাহিত্যের বিকাশ ঘটছে । পত্রিকাগুলি পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা, শিলিগুড়ি, মুম্বাই, পুনে, ব্যাঙ্গালোর ।   দিল্লির বিভিন্ন সাহিত্য আড্ডা ও সঙ্গীত এর উচ্চতা সম্পর্কে আর ২২ লক্ষ বাঙ্গালির সন্দেহ নেই । সি আর পার্ক, নয়ডা, দ্বারকা,  বসন্তকুঞ্জ, মুক্তধারায় সারাবছর চলছে বাংলা অনুষ্ঠান । বাংলাদেশ হাই কমিশনে ঢাকার বাঙালি শিল্পীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন দিল্লির সাহিত্য-গ্রুপ । এই সমস্ত সাহিত্য প্রয়াস এত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আর সহস্র সাল পুরানো দিল্লি শহরের এত ব্যাপ্তি যে এতটা এলাকার কবি, শিল্পী, নাট্যকারদের প্রচেষ্টাকে একসাথে করাটা একটা চ্যালেঞ্জ । ছোট ছোট গ্রুপে কাজ করে দিল্লির সাহিত্য গোষ্ঠী গুলো । শ্রেণী বিভেদ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ইগোক্লাস, অর্থনীতি, অন্যান্য ভাষার প্রাধান্য মূল সমস্যা । বাংলা ছাত্র কমে যাচ্ছে স্কুল থেকে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে যাচ্ছে বাংলা বিভাগ । এমত অবস্থায় নিয়মিত সাহিত্য আসর চালিয়ে যাওয়া, লাইক-মাইন্ডের লোকদের সাহিত্য আলোচনা প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে । এই সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে দূরত্ব আর যানজট সমস্যায় জর্জরিত দিল্লি দারুণ ইঁদুর দৌড়ের যাপনে সাহিত্য প্রয়াস বিচ্ছিন্ন প্রায় । দিল্লি-কেন্দ্রিক কোন সঠিক মিডিয়া বা নিয়মিত সংবাদপত্র না থাকায় দিল্লির সাহিত্যের লাইফ-লাইন ধরা একেবারেই  অসম্ভব হয়ে পড়েছে । দিল্লির সাহিত্য সম্পর্কে জানার মত আজ গুগলেও কিছু গড়ে ওঠেনি । দিল্লি এন সি আর এলাকার কবি, গল্পকারদের মিলন মেলার জন্য একটা ভার্চুয়াল আড্ডার দরকার ছিলো যা এখন 'দিল্লির বাংলা সাহিত্য' গ্রুপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত। এই সঙ্গে জুড়ে আছেন লেখক ও পাঠক দুই গোষ্ঠীই । তাদের কমিউনিকেশনের জন্য আজ বোধহয় টেকনোলোজি বড় হাতিয়ার কিছু নেই । ইন্টারনেট আমাদের এই প্রয়াসকে অনেক সহজ করে দিয়েছে । দেহ্‌লিজ ইন্টারনেট পাঠক ও লেখকদের জন্য পত্রিকা ।

দেহ্‌লিজ একটি ওয়েব ম্যাগাজিন । এর প্রিন্ট সংখ্যা যে কোনদিন বের হবে না তা নয়, কিন্তু সেই ফান্ড আমাদের নাই । দেহ্‌লিজ পরিচালিত হয় একটি গ্রুপের দ্বারা । গ্রুপটার নাম 'দিল্লির বাংলা সাহিত্য' । হোয়াটস অ্যাপে চলে । কেউ যুক্ত হতে চাইলে মেল করতে পারেন ঃ poet.area@gmail.com.

আপাতত এই আমাদের সিদ্ধান্ত, দিল্লিতে বসবাসকারী লেখকেরাই এই পত্রিকাতে লিখবে । ৬ মাসের উপর বসবাস করলেই, আমি ধরে নিচ্ছি যে তিনি দিল্লির এন সি আর এর লেখক । প্রচারের আড়ালে থাকা দীর্ঘ দিন দিল্লির মাটিতে সাহিত্য চর্চা করা লেখকদের কাছে পৌঁছানো হবে ।  যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে ।   যে সমস্ত বাঙালি হিন্দিতে লেখেন, তারাও আমন্ত্রিত । লেখা পাঠানোর ঠিকানা: poet.area@gmail.com.

লেখা পাঠাবেন, ইউনিকোডে । অন্যকোন ফরম্যাটে লেখা নিতে পারছি না । লাইন-ব্রেক দেখানোর জন্য PDF ফরম্যাটে আলাদা ভাবে পাঠাবেন । লেখা বের হইয়ে যাবার পরে লেখাগুলি যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা যাবে ।  এই সংখ্যায় আমি কেবল টেক্সট লেখা নিলাম । পরবর্তীতে অডিও এবং ভিডিও লেখা আমরা নেবো । এই সংখ্যায় কোন সম্পাদকও নাই । পরবর্তীতে সম্পাদকমন্ডলী রাখা হবে , আপনাদের সমস্ত সহযোগিতা পাবো বলে আমার বিশ্বাস ।



Saturday, May 5, 2018

ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চন

৬ই মে প্রকাশ পাচ্ছে 'দেহ্‌লিজ' 

পীযূষকান্তি বিশ্বাস


আজকের ঘোষণা: দিল্লির বাংলা সাহিত্য গ্রুপের নিজস্ব সাহিত্য পত্রিকা হবে । ওয়েব ম্যাগাজিন ।
সম্ভাব্য প্রতিনিয়ত জিজ্ঞাসা করার প্রশ্নগুলি (FAQ) আমি এই রকম ভাবলাম । আর যেহেতু আমি মনে করি এই গ্রুপের সবাই ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি, কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার , তাদের মতামত নিয়ে এই ওয়েব ম্যাগাজিনের পথনির্দেশ তৈরি করা হবে ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটির নাম কি হবে ?
উত্তর: দেহ্‌লিজ

প্রশ্ন: দিল্লি থেকে এত পত্রিকা থাকা স্বত্বেও আর একটি পত্রিকা কেন ?
উত্তর: দিল্লি বাংলা সাহিত্যের কোন ওয়েব প্রেজেন্স নেই । কাল যে কোন ব্যক্তি দিল্লি থেকে সাহিত্য চর্চা করতে চান, দিল্লির বাংলা সাহিত্য নিয়ে রিসার্চ করতে চান, আমরা তাদের জন্য কোন ওয়েব ফুট-প্রিন্ট রেখে যেতে চাই । দেহ্‌লিজ হবে দিল্লির সাহিত্যের প্রবেশদ্বার ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটি ওয়েব ম্যাগাজিন কেন ? ফেসবুকে তো বেশ কাজ চলে যায় ।
উত্তর: দেহ্‌লিজ একটি ফিক্সড অ্যাড্রেস পত্রিকা । কোন একাউন্ট নির্ভর নয় । আর ফেসবুক হল একাউন্ট নির্ভর সোশ্যাল মিডিয়া । কাল যদি ভারত সরকার ফেসবুক কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, আপনার ফেসবুক কন্টেন্ট বিপদে পড়ে যাবে ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটির লেখক কারা ?
উত্তর: দেহ্‌লিজ কে এখনো পর্যন্ত ভাবা হচ্ছে দিল্লির বাংলা সাহিত্য প্রমোশনের পত্রিকা হিসাবে । তাই দিল্লি এন সি আর অঞ্চলের লেখকদের সাহিত্য যাপনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে । বিভিন্ন ক্যাটেগরি রাখা হচ্ছে । দিল্লির বাংলা সাহিত্য গ্রুপ থেকে লেখক ও পাঠকদের স্টাডি করা হচ্ছে, ইন্টারেস্ট গ্রুপ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে । সময়ের উপযোগী হিসাবে লেখার মান নির্ধারণ করা হবে । বড়, ছোট, খ্যাত, বিখ্যাত বলে কোন ট্যাগে দেহ্‌লিজ বিশ্বাস করে না । এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য হচ্ছে বলেও কেউ দাবী করছে না । দিল্লির বাংলা সাহিত্য কে রিপ্রেজেন্ট করাই এই উদ্দেশ্য ।  আজ ২০১৮ তে দাঁড়িয়ে দিল্লির লেখকরা যা লিখছেন , সেই অবস্থানটা ধরা হবে ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটিতে কি কি বিষয়ে লিখতে পারা যাবে ?
উত্তর: কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, দিল্লির সামাজিক অবস্থা নিয়ে ফিচার আর্টিকেল, গল্প , উপন্যাস , বই রিভিউ, সিনেমা রিভিউ, ফটোগ্রাফি, ইন্টারভিউ প্রকাশ করা হবে ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটির পিছনে কোন কোন অ্যাসোসিয়েশনের হাত রয়েছে ?
উত্তর:  পত্রিকাটির পিছনে কোন অ্যাসোসিয়েশনের হাত নেই । ভলেন্টিয়ার বেসড । কোন প্রতিষ্ঠান নেই । বিল্ডিং নেই । কোন ফান্ড নেই ।  চাঁদা নেই ।

প্রশ্ন: পত্রিকাটির সম্পাদক কে ? 
উত্তর: এখনও অব্দি পত্রিকাটির কোন সম্পাদক রাখা হয় নাই । আমি একজন কর্মী হিসবে কো-অর্ডিনেট করছি । 'দিল্লির বাংলা সাহিত্য' নামে যে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে, সেই গ্রুপ থেকে সাহিত্য আড্ডা হয়, তার উপর বেস করে পত্রিকাটির চরিত্র ও লেখা নির্বাচন করা হবে । পত্রিকাটি সেই সূত্রে বলা যায় 'আড্ডা পরিচালিত' ।

প্রশ্ন: এটা তো পত্রিকা চালানোর সঠিক প্রক্রিয়া নয়, আপনি নিশ্চিত ব্যর্থ প্রচেষ্টা করছেন । 
উত্তর: সঠিক বেঠিক হিসাব করিনি । আমরা ক্রিয়েটিভ লোক , সৃষ্টির আনন্দে কাজ করি । আমাদের কাছে একটাই অস্ত্র সেটা হলো কলম । কলমকে আপগ্রেড করে আমরা এই ওয়েব সাইটে আসছি । আমরা আমাদের সাহিত্যযাপনের উপর ভরসা রাখছি ।  আমাদের কাজ ন্যাচারাল পথে হবে যে ভাবে নদী বেয়ে চলে । নদী যদি পথ না পেয়ে শুঁকিয়ে যায়, ওটাই ন্যাচারাল ।

প্রশ্ন: কবে থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হবে ? 
উত্তর:  ৬ই মে রবীন্দ্রভবনে বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রভাতী অনুষ্ঠানের সময় প্রকাশ পাবে এই ওয়েব ম্যাগটি।  দিল্লির বুকে সব চেয়ে বড় বাংলা অনুষ্ঠান । মনে হচ্ছে সমস্ত কবি সাহিত্যিকরা উপস্থিত থাকবেন । আমাদের গ্রুপের ম্যাক্সিমাম এটেন্ডেন্স চাই । আসুন সবাই রবীন্দ্রভবন, কোপার্নিকাস মার্গ , নিউ দিল্লি ।


Facebook Comments